পশ্চিমবঙ্গ গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা

জমাদানকারী pinky চালু Thu, 02/05/2024 - 13:14
পশ্চিমবঙ্গ CM
Scheme Open
হাইলাইট
  • গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গৃহহীন এবং দরিদ্র মানুষদের নিজস্ব বাড়ি নির্মাণের জন্য নিম্নলিখিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে :-
    এলাকার বিভাগ সহায়তার পরিমাণ
    • সমতল গ্রামীণ এলাকার সুবিধাভোগী
    • আধা শহুরে এলাকার অ পৌর সুবিধাভোগী
    Rs. ১,৬৭,০০০/-
    • অ উপকূলীয় এলাকার জেলে
    Rs. ১,২৩,০০০/-
    • সুন্দরবন প্রান্তরের সুবিধাভোগীরা
    • অ বন উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাভোগীরা
    Rs. ১,৯৪,০০০/-
    • দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকার সুবিধাভোগীরা
    Rs. ২,৫১,০০০/-
    • জলপাইগুড়ি বনগ্রামের সুবিধাভোগীরা
    Rs. ৩,০০,০০০/-
    যেসমস্ত সুবিধাভোগীদের বাড়ি নির্মাণের জন্য নিজস্ব জমি নেই তারা বহুতল ভবনে নির্মিত বাড়ি পাবে।
প্রকল্পের ওভারভিউ
প্রকল্পের নাম পশ্চিমবঙ্গ গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা।
সুবিধা বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা।
সুবিধাভোগী
  • ইডাব্লিউএস মানুষ।
  • বিপিএল কার্ড পরিবার।
নোডাল বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ আবাসন বিভাগ।
সাবস্ক্রিপশন প্রকল্প সংক্রান্ত আপডেট পেতে এখানে সাবস্ক্রাইব করুন।
আবেদন প্রক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গ গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার আবেদনপত্র

ভূমিকা

  • গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রধান আবাসন সহায়তা প্রকল্প।
  • ০১-০৪-২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অন্য "আমার ঠিকানা "নামে অন্য আবাসন সহায়তা প্রকল্পটিকে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার সাথে একত্রিত করেছে।
  • এই প্রকল্পটি শুরু করার পিছনে মূল উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণী এবং বিপিএল কার্ডধারী পরিবারগুলিকে যাদের পরিবারের সদস্যদের কোনো একজনের নামে একটি পাকা বাড়ি নেই তাদের নিজস্ব আশ্রয় প্রদান করা।
  • গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার অধীনে সমস্ত যোগ্য সুবিধাভোগীদের তাদের নিজেদের জমিতে বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
  • শহুরে এলাকায় যে সমস্ত মানুষদের নিজস্ব বাড়ি নির্মাণের জন্য কোনো জমি নেই তাদেরও নির্মিত বাড়ি প্রদান করা হবে ।
  • গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত গ্রামীণ এবং শহর এলাকাগুলিতে প্রযোজ্য।
  • যেসমস্ত মানুষ কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা কোনো সরকারী পুনর্বাসন প্রকল্পে নিজেদের বাড়ি হারিয়েছেন তাদেরকেও নির্মিত বাড়ি বা বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
  • সরকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষদের জন্য বাড়ি নির্মাণে পূর্ণ মনোযোগ দিয়েছেন।
  • সুবিধাভোগীর শ্রেণী অনুযায়ী গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা গ্রামীণ এলাকায় ছয়টি বিভাগ দ্বারা কার্যকর করা হয়েছে যা নিম্নরূপ :-
    • সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
    • অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণ বিভাগ।
    • মৎস্য বিভাগ।
    • বন বিভাগ।
    • সুন্দরবন বিষয়ক বিভাগ।
    • পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ।
  • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার অধীনে সুবিধাভোগীর শ্রেণী অনুযায়ী বাড়ি নির্মাণ করতে Rs. ১,২৩,০০০/- থেকে শুরু করে Rs. ৩,০০,০০০/- পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
  • অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ (ইডাব্লিউএস) বা দরিদ্র সীমার নীচের (বিপিএল) পরিবারগুলি এই প্রকল্পের অধীনে বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য।
  • যোগ্য সুবিধাভোগীরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা আবাসন বিভাগে উপলব্ধ আবেদনপত্র পূরণের মাধ্যমে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার জন্য আবেদন করতে পারেন।

প্রকল্পের সুবিধাগুলি

  • গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার অধীনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গৃহহীন এবং দরিদ্র মানুষদের নিজস্ব বাড়ি নির্মাণের জন্য নিম্নলিখিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে :-
    এলাকার বিভাগ সহায়তার পরিমাণ
    • সমতল গ্রামীণ এলাকার সুবিধাভোগী
    • আধা শহুরে এলাকার অ পৌর সুবিধাভোগী
    Rs. ১,৬৭,০০০/-
    • অ উপকূলীয় এলাকার জেলে
    Rs. ১,২৩,০০০/-
    • সুন্দরবন প্রান্তরের সুবিধাভোগীরা
    • অ বন উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাভোগীরা
    Rs. ১,৯৪,০০০/-
    • দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকার সুবিধাভোগীরা
    Rs. ২,৫১,০০০/-
    • জলপাইগুড়ি বনগ্রামের সুবিধাভোগীরা
    Rs. ৩,০০,০০০/-
    যেসমস্ত সুবিধাভোগীদের বাড়ি নির্মাণের জন্য নিজস্ব জমি নেই তারা বহুতল ভবনে নির্মিত বাড়ি পাবে।

যোগ্যতা মানদন্ড

  • আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • আবেদনকারীর ইডাব্লিউএস  সার্টিফিকেট বা বিপিএল কার্ড থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীর মাসিক আয় প্রতি মাসে Rs. ৬,০০০/- টাকার বেশি হওয়া যাবে না।
  • আবেদনকারীকে গৃহহীন এবং দরিদ্র হতে হবে।
  • গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য আবেদনকারীর নিজস্ব একটি জমি থাকতে হবে।
  • শহুরে এলাকায় বসবাসকারী আবেদনকারীর তাদের (ছেলে/ মেয়ে) নিজস্ব জমি থাকার প্রয়োজন নেই।
  • যেসমস্ত মানুষ নিম্নলিখিত কারণগুলির যে কোনো একটির কারণে তাদের বাড়ি হারিয়েছেন তারাও আবাসন সহায়তার জন্য যোগ্য :-
    • ক্ষয়।
    • বন্যা।
    • সরকারী প্রকল্প (পুনর্বাসন ব্যবস্থা)।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র

  • ইডাব্লিউএস সার্টিফিকেট বা বিপিএল কার্ড।
  • আর্ধার কার্ড।
  • বয়সের প্রমাণ হিসাবে নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলির যেকোনো একটি :-
    • জন্ম শংসাপত্র।
    • বিদ্যালয় থেকে প্রস্থানের শংসাপত্র।
    • পাসপোর্ট।
  • ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলির যেকোনো একটি :-
    • ভোটার আইডি।
    • ইলেকট্রিকের বিল।
    • জলের বিল।
    • টেলিফোনের বিল।
  • আয়ের শংসাপত্র।
  • ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ।
  • পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
  • মোবাইল নাম্বার।

কিভাবে আবেদন করবেন

  • গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার অধীনে যোগ্য সুবিধাভোগীরা অফলাইন আবেদনপত্র পূরণের মাধ্যমে আবাসন সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • গ্রামীণ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস এবং শহুরে এলাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস বা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফিসে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার আবেদনপত্র উপলব্ধ রয়েছে।
  • আবেদনপত্রটি সংগ্রহ করুন।
  • আবেদনপত্রের সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলি সংযুক্ত করুন।
  • যে অফিস থেকে আবেদনপত্রটি সংগ্রহ করেছিলেন সেই একই অফিসে সমস্ত নথিপত্রগুলি সহ আবেদনপত্রটি জমা করুন।
  • জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলি এবং নথিপত্রগুলি যাচাই করবে।
  • গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার অধীনে নির্বাচিত সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করা হবে।
  • নির্বাচিত সুবিধাভোগীর তালিকা তারপর সর্বশেষ অনুমোদনের জন্য আবাসন বিভাগে পাঠানো হবে।
  • সর্বশেষ অনুমোদনের পর,জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার ৫০% টাকার ১ম কিস্তি ছাড়বে।
  • ১ম কিস্তির টাকা ব্যবহার করার পর, ৫০% টাকার ২য় কিস্তি ছাড়া হবে।

গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক

যোগাযোগ বিবরণ

Comments

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন

Plain text

  • সকল HTML ট্যাগ নিষিদ্ধ।
  • লাইন এবং প্যারা বিরতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেওয়া হয়।

Rich Format